একবার চিন্তা করুন তো, গতকালের চট্টগ্রাম পতেঙ্গায় বিমান দুর্ঘটনার দৃশ্য, যতটুকু ফুটেজে দেখেছেন।😢
একবার চিন্তা করুন তো, গতকালের চট্টগ্রাম পতেঙ্গায় বিমান দুর্ঘটনার দৃশ্য, যতটুকু ফুটেজে দেখেছেন।😢
একটা YAK-130 এডভান্স জেট প্রশিক্ষণ/যুদ্ধ বিমান আকাশে থাকা অবস্থায় ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়, সেই বিমানকেরানওয়েতে ল্যান্ড করানো মোটেও সম্ভব নয় যার কারণে পাইলট চাইলেই কিন্তু আকাশে থাকা অবস্থায় ইনজেকশন করে নিজেরাবের হয়ে আসতে পারতেন এতে করে তারা সহজেই বেঁচে যেতেন।
কিন্তু তারা সেই কজটি করেননি, কেন করেননি তা জানেন,, কারণ তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে বিমানটিকে বাঁচানোর জন্য, আরআকাশে থাকা অবস্থায় বিমান থেকে যদি তারা বের হয়ে আসত তাহলে বিমানটি যেই কোন জায়গায় গিয়ে বিধ্বস্ত হতে পারতো, হয়তো কারো ঘরের উপর অথবা আশেপাশে ইস্টার্ন রিফাইনারি, পদ্মা,মেঘনা, কাফকোর উপর অথবা কোন লোকালয়েলোকজনের উপর সে ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতো। সেই চিন্তা করে তারা নিজেদের জীবনের চাইতে দেশের সম্পদ এবং দেশেরমানুষ তথা আপনার/আমার কথা বেশি ভেবেছেন সেই কারণে তারা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজের জীবনকে পরোয়া নাকরে দেশের সম্পদ রক্ষার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন।
খেয়াল করে দেখুন, আগুন ধরা বিমানটিকে পাইলট নদীতে নিয়ে আসতে সক্ষম হয় এবং বিমানটি ক্রাশ করার 1-2 সেকেন্ডআগে তারা ইনজেকশন করে বের হয়ে আসে, কতটুকু চেষ্টা করেছে তারা বিমানটি বাঁচানোর জন্য ভাবা যায়।
এটা কেমন নেশা?
ইঞ্জিনে আগুন লাগার পরেও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিমান বাঁচানোর লড়াই। নতুন বৌ, শিশু সন্তানদের মায়া কীভাবে ভুলে যায়মুহুর্তের মধ্যেই।
আজকের দুর্ঘটনায় শহীদ হয়েছেন একজন পাইলট।
আর পাইলট কতটুকু দক্ষ হলে in air এ একটা ইঞ্জিনে আগুন ধরা বিমানকে রানওয়ের উপর দিয়ে নিয়ে এসে নদীর উপরে ফেলেনিজেরা বের হয়ে আসে, আল্লাহু আকবার। (সত্যিই প্রশংসার যোগ্য)
কিন্তু দূঃখের বিষয় হলো, দুইজন পাইলট এর মধ্যে একজন পাইলট (স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ অসীম জাওয়াদ) স্যার ইন্তেকালকরেন 😢। আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা তার এ শহীদ কে কবুল করুক, এবং তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দানকরুক,,আমিন।
তাদের এ ঋণ দেশ ও জাতি আজীবন মনে রাখবে। ইনশাআল্লাহ 💖


Comments
Post a Comment